গাজীপুরের শ্রীপুরে বেশী বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর একটি কক্ষে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন ওই ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো. লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। লিটন মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে ওই ব্যাংকের এটিএম বুথে দায়িত্বরত ছিলেন।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, এটিএম বুথ থেকে টাকা উঠানোর সূত্র ধরে ভিকটিম ওই কারখানা শ্রমিকের সাথে পরিচয় হয় এটিএম বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মী লিটনের সাথে।
ভিকটিম কারখানা শ্রমিক স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো। তালহা স্পিনিং মিল নামের কারখানায় ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বুথের নিরাপত্তা প্রহরী লিটন ভিকটিমের বাবার মোবাইল ফোনে ভিকটিমকে গতকাল রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় ডেকে নেয়।
বুথে যাওয়ার পর কারখানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন এই বলে লিটন মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। পরে ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ের চাকরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত লিটন মেয়ের চাকরির কথা চিন্তা না করতে বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে এটিএম বুথে ভেতরে বসিয়ে রাখা কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে রাস্তায় ঘটনাটি মেয়ে তার বাবাকে জানান।
ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মো. হানিফের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি তা রিসিভি না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক জানান, ঘটনার পরপরই ভিকটিমের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পরপরই আসামি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে ওসি জানান।