রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটের মামলায় অভিযুক্ত সুদীপ্ত হালদার ওরফে সুমনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার (২৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব।
গ্রেপ্তার সুমন বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার বেদকাটা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, দুই মাস আগে মুঠোফোনে অচেনা এক নম্বরে অভিযুক্ত সুমনের সঙ্গে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী কিশোরীর। সুমন ওই কিশোরীর কাছে নিজেকে একজন সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দেন। পরে তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে তিনি।পরে সেই কিশোরীর কাছ থেকে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও ৬ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যান অভিযুক্ত সুমন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত সুদীপ্ত হালদার নিজেকে একজন সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিবাহের প্রলোভন দেখায়। এর মধ্যে গত ২২ মে রাতে কৌশলে ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করেন সুমন।
সে সময় পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তারা ঘুমিয়ে যান। রাত ৩টার দিকে ওই কিশোরীর ঘুম ভেঙে গেলে উঠে দেখেন সুমন ঘরে নেই। ঘরের আলমারির সব বক্স ভাঙা। সেখানে গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা এবং সোনার চেইন, কানের দুলসহ প্রায় ৬ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার নেই।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় গত ২৪ মে রাতে সুমনে বিরুদ্ধে ওই কিশোরী বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা করেন। পরে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত রবিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় লুট হওয়া প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।