খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে ১২ বছরের একটি ছেলেশিশুকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন দুই যুবক। গত রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার একজন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা করে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এসব তথ্য জানায়।
পিবিআই জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আল–আমিন (৩৪)। গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আজ হত্যা ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় সাদ্দাম নামের আরেকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, ১২ জুলাই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ১২ বছর বয়সী ওই শিশুটির সঙ্গে আল-আমিন ও সাদ্দামের পরিচয় হয়। বরিশাল যাওয়ার ট্রেন কখন ছাড়বে তাদের কাছে জানতে চায় শিশুটি। তখন শিশুটিকে তারা জানান, বরিশালে ট্রেন যায় না। একপর্যায়ে শিশুটি তাদের জানায়, সে এক দিন ধরে কিছু খায়নি। পরে তারা শিশুটিকে খাবার ও জুতা কিনে দেন। সন্ধ্যায় শিশুটিকে যাত্রাবাড়ীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান তারা। রাতে দুজন মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকালে আবারও ধর্ষণ করতে চাইলে শিশুটি বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে শিশুটিকে হত্যা করেন।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, গত সোমবার হোটেলের লোকজন কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে শিশুটির লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এখন ময়নাতদন্ত শেষে শিশুটির মরদেহ মর্গেই রাখা হয়েছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় সেদিনই যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। পরে পিবিআই ছায়া তদন্ত করে দুই আসামিকে শনাক্ত করে।