চাঁদপুরে যুবকেকে গলাকেটে হত্যা

নিহত ৩৫ বছর বয়সী আলমগীর হোসেন ওই গ্রামের নতুন বাড়ির মো. শহীদ উল্লাহর ছেলে।

আলমগীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম তাছলিমা বেগম। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

প্রবাসী আবুল হোসাইন মানিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম বলেন, তাদের বাড়ির শিপন এশার নামাজ পড়ে ফেরার সময় বাড়ির ছাদে কারও উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের খবর দেন। এরপর তারা ছাদে গিয়ে আলমগীরকে গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয়।

চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলাল জানান, ‘আমরা ইফতারের পর হত্যাকাণ্ডের খবর পাই। আলমগীর এলাকায় মাইকিংয়ের কাজ করতেন। তাকে ভালো হিসেবেই জানি। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল। তার কোনো শত্রু থাকতে পারে, তা আমার জানা নেই।’

নিহত আলমগীরের আত্মীয় মো. জাহিদ হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হই এবং ৯৯৯ ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানানো হয়। এর পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।’

শাহরাস্তি থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ‘বাড়ির ছাদে গলা কাটা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীর ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে পৌনে ৮টার মধ্যে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।

পুলিশ ওই বাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনা জানার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মাঝারি সাইজের ধারালো ছুরি পাওয়া গেছে। দ্রুতই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য খুঁজে বের করা হবে।’