সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় পুকুর খননকারীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে যুবদল ও কৃষক দলের ৩ নেতাকে আটকে রেখে মারধর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তাদের বাকিরা পালিয়ে যায়। ৩টি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। তবে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আহতরা হলেন, সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন(৪০), সদস্য রোকনুজ্জামান খোকন (৩৮) ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবহান আলী (৪২)।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশকিছু বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ যুবদল ও কৃষকদলের এই তিন নেতাকে আটকে রেখে মারধর করছে।
স্থানীয় শহিদুল ইসলাম ও আরব আলী বলেন, শুক্রবার বিকেলে ৫ থেকে ৭টি মোটরসাইকেলে ৮-৯জন নইপাড়ায় এসে গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর খনন কাজ চলাকালে চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষরা তাদের ৩জনকে আটকে রেখে গণপিটুনি দিয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাকিরা পালিয়ে যায়। উত্তেজিত লোকজন তাদের ৩/৪টি মটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।
তবে ধুবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম হাবু জানান, নৈইপাড়া গ্রামে আমাদের দলীয় ছেলেদেরকে পূর্বপরিকল্পিত ও অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। মূলত আমাদের দলের ছেলেরা আবাদি জমিতে পুকুর খননের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। প্রতিবাদ করার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
একইভাবে সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সরকার জানান, পুকুর খনন করা সরকারিভাবে অবৈধ। ওই এলাকায় পুকুর খননের মাটি পরিবহনের কারণে রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। তাই দলের নেতাকর্মীরা খনন কাজ বন্ধ করতে সেখানে গিয়েছিল, চাঁদাবাজি করতে যায়নি।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্তার কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, সংবাদ পেয়ে আটকে রাখা নেতাদের উদ্ধার করে রাত ৯ টার দিকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি সবকিছু দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।