কক্সবাজারের টেকনাফে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে বিএনপির জেলা সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী এবং জেলার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এতে আহতরা হলেন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য রাশেদুল করিম মার্কিন, টেকনাফ উপজেলা আরফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ এর যুগ্ম-আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সাবরাং ছাত্রদলের সচিব কামরুল হুদা, বিএনপি নেতা এজাহার মিয়া, সাবরাং ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সব্বির আহমদ, সাবরাং ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও মেম্বার কবির আহমদ, সাবরাং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মৌলভী আবদুল গফুর, টেকনাফ সদর বিএনপির ৮নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ফরিদ আলমসহ ১০ জন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি একটি ডিজিটাল মিডিয়ায় বিএনপির জেলা সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী ও তার সমর্থিত নেতাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার হয়। যেখানে বিএনপির জেলা সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলের কমিটি বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ আনেন আবদুল্লাহ সর্মথিত কয়েকজন।
এর কয়েক দিন পর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দখল ও সন্ত্রাসের অভিযোগে আরেকটি প্রতিবেদন প্রচার করে ভিন্ন একটি ডিজিটাল মিডিয়া। এই দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের গ্রুপিং থাকায় একে অপরকে দায়ী করে আসছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার উভয়পক্ষ অপপ্রচারের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিকেল চারটার দিকে সাবরাং থেকে শাহজাহান চৌধুরীর পক্ষের একটি মিছিল এলে পৌরসভা শাপলা চত্বরে আবদুল্লাহর পক্ষের মিছিলের মুখোমুখি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
শাহজাহান চৌধুরী সমর্থিত নেতা টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের বিক্ষোভ মিছিলটি পূর্ব নির্ধারিত। সেই মিছিলের জমায়েতের স্থানে আবদুল্লাহ জমায়েতের ঘোষণা দেয়। সংঘাত এড়াতে স্থান পরিবর্তন করার পরও সাবরাং এর মিছিলে হামলা চালানো হয়েছে।
হামলাকারীরা বিএনপি থেকে বহিষ্কারকৃত মন্তব্য করে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান সিদ্দিকী বলেন, টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বরে বিকেল ৩টার দিকে শাপলা চত্বরের জিরো পয়েন্টে আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান, আব্দুর রহমান, মনির উল্লাহ, জয়নাল,শাহ আলম বিপ্লব, ব্যাজি জাফর,ম কাটাবনিয়ার বাঁধ কোম্পানির ছেলে ইসলাম, আলীর ডেইলের খুইল্যা মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক আহমদসহ শতাধিক লোক এ হামলা চালায়। আহত ৬ জন গুরুতর। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এতে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হামলার বিষয়টি কেউ জানায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।