নিজ খরচে এলাকাবাসীর জন্য ডাস্টবিন নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌর এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান কাজল। এ নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মেরেছেন ওই পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস সালাম।
এ বিষয়ে আহত কাজলের ছোট ভাই সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে মেয়রের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফ্রান্সে থাকেন দক্ষিণ রামগোপালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর (৪৮)। তিনি সম্প্রতি ওই এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য মর্নিংবার্ড চাইল্ড স্কুলের উল্টো পাশে ডাস্টবিন নির্মাণে উদ্যোগ নেন। ওই জায়গাটি তাঁকে নির্ধারণ করে দেন পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আওলাদ হোসেন।
সে অনুযায়ী রোববার সকালে কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে ডাস্টবিন নির্মাণ শুরু করেন মাহবুবুর রহমান। বিষয়টি জানতে পেরে ১০-১২ জন সঙ্গী নিয়ে সেখানে যান মেয়র আব্দুস সালাম। সেখানে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাহবুবুরকে গালাগাল শুরু করেন মেয়র। পরে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মারেন তিনি।
পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন মাহবুবুর। এ ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই তাইফুর রহমান শান্ত সদর থানায় পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
আহত মাহবুবুরের ভাষ্য, দক্ষিণ রামগোপালপুরের লোকজন ময়লার গন্ধে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি নিজ টাকায় ডাস্টবিন নির্মাণে উদ্যোগ নেন। এতে বাধা দিতে এসে মেয়র তাঁকে মারধর করেন।
ডাস্টবিন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে (মাহবুবুর) এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে কাজ করতে বলেছিলাম।’
বিষয়টি পৌর মেয়রকে জানানো হয়নি বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস সালামের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েক দফায় কল দিয়ে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাঁর ছেলে মানিকের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তারা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।