রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে যশোর জেলার ঘোপ নওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসী বাপ্পি ওরফে মো. আলী ওরফে ফিরোজ আলম ওরফে আহসানুল হক এবং তার সহযোগী আবু খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে বোমা রিপন ও মো. কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি গুলিভর্তি ম্যাগজিনসহ ১৫১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ডিবি-লালবাগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডিবি-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম গত ১৮ জুন রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুল এলাকার ডিআইটি এক্সটেনশন রোডে অভিযান চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আবদুর রহমান নামে একজনকে আটক করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমানের দেওয়া তথ্যমতে ডিবির আভিযানিক দল ১৯ জুন রাত সোয়া ১২টার দিকে ফকিরাপুল থেকে পল্টনগামী একটি সিলভার কালারের প্রাইভেটকারকে থামানোর নির্দেশ দেয়। এ সময় গাড়িতে অবস্থানরত দুই মাদক কারবারি আকস্মিক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ডিবির তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক ৯০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মাদক কারবারিদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।
ডিবি তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে জানতে পারে এই ঘটনার মূলহোতা বাপ্পি। তাকে ধরতে ডিবি ঢাকা, বরিশাল, সাতক্ষীরা ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির দুইতলা বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী বাপ্পি, তার সহযোগী আবু খালিদ সাইফুল্লাহ ও কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। বাপ্পির দেহ তল্লাশি করে ১টি পিস্তল এবং ২টি ম্যাগজিনে ৭ রাউন্ড গুলিভর্তি অবস্থায় উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
বাপ্পির দেওয়া তথ্যমতে, শনিবার রাতে ঢাকা মহানগরীর ডেমরা থানাধীন বাদশা মিয়া রোডের আবাসিক এলাকায় একটি ভবনের ৫ম তলার ফ্ল্যাট থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি গুলিভর্তি ম্যাগজিনসহ আরও ১৪৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি জব্দ করা হয়।