English

27.1 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ২৯, ২০২৫
- Advertisement -

ধর্ষণের পর হুমকিতে কিশোরীর আত্মহত্যা, ৩ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

- Advertisements -

নেত্রকোনায় কিশোরীকে (১৫) তিন যুবক মিলে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দেওয়া হয়। পরে জানাজানি হলে লজ্জায় ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায় পৃথক দুটি ধারায় দায়ের করা মামলার রায় হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ মামলায় তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে দায়ের করা মামলায় প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুর ৩টার দিকে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. একেএম এমদাদুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. নুরুল কবীর রুবেল। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় তিনজন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকরা হলেন- উপজেলা সদরের ঠাকুরাকোনা এলাকার কাজল সরকারের ছেলে অপু চন্দ্র সরকার (২০), গফুর মিয়ার ছেলে মামুন আকন্দ (২৫) ও মৃত চান মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়া (২২)। তাদের মধ্যে অপু সরকার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক উপসম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোনা গ্রামের ওই তিন যুবক কিশোরীকে পাশের মাছের খামারের একটি ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই দিন রাত ৮টার দিকে মেয়েটির মা কৌশলে সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তখন মেয়েকে ‘বিধ্বস্ত’ দেখাচ্ছিল। মেয়েটি ওই তিন আসামি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পর ‘ধর্ষণকারী’ যুবকদের একজন তাদের ঘরে গিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

কিন্তু স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে লজ্জায় ওই কিশোরী নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় প্রথমে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করে। কিশোরীর মা তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি থানায় ধর্ষণ মামলা দিতে গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। উল্টো তাকে গালমন্দ করে থানা থেকে বের করে দেয়। এ নিয়ে বিচারের দাবি চেয়ে নেত্রকোনায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

পরে নেত্রকোনা মডেল থানায় তখনকার দায়িত্বে থাকা ওসি আমীর তৈমুর ইলিকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ পৃথক দুটি মামলা করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে পান্নার লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়। এর পর অভিযুক্ত তিন যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্তের শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ বিচারক এ রায় প্রদান করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পীযুষ কান্তি সরকার, আনিসুর রহমান এবং আবদুল হামিদ।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/hbpg
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন