নাটোরের বড়াইগ্রামের মমতাজ বেগম (৬৯) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যার পর তার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালানের সময় অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিকসহ নাতনিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত মমতাজ বেগম বনপাড়া সরদার পাড়ার শফি ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একা বসবাস করতেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সরদার পাড়া মহল্লার শাহিনুজ্জামান শাহীনের মেয়ে ফাওজিয়া খাতুন (২০) ও তার কথিত স্বামী একই উপজেলার মাঝগ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২৫)।
পুলিশ জানায়, বছর খানেক আগে ফাওজিয়া পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে স্বামীকে তালাক দেন। এরপর থেকে পরকীয়া প্রেমিক মিনারুলকে স্বামী পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে সংসার করে আসছিল ফাওজিয়া। গত রবিবার দাদী মমতাজ বেগমের বাড়িতে যান ফাওজিয়া। ওই রাতে স্বামীকে তালাক দেওয়া ও অনৈতিকভাবে জীবনযাপন করা নিয়ে তাকে বকাঝকা করেন।
এক পর্যায়ে ফাওজিয়া উত্তেজনাবশত পাশে থাকা বড় টর্চ লাইট দিয়ে দাদীর মুখ ও নাকে উপর্যুপরি আঘাত করে। পরে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ফাওজিয়া তার দাদীর শরীর থেকে প্রায় তিন ভরি স্বর্ণের মালা, চুড়ি, কানের দুল ও আংটি খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার কথিত স্বামীর সহযোগিতায় সেসব স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাটোর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের দুজনকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত ও লুন্ঠিত মালামাল বিক্রিতে সহযোগিতার দায়ে ফাওজিয়ার কথিত স্বামীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাওজিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুন্ঠিত স্বর্ণালঙ্কারের কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলোও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
আজ বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।