নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বৃদ্ধ মাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে ছেলে দৌলত মিয়া (৪০)। পরে তাঁকে পুত্রবধূ ও নাতি টেনেহিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মোসা. কোকিলা আক্তারকে (৬৫) চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় পুলিশ ছেলেকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই বৃদ্ধার বাড়ি উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামে। বিধবা কোকিলার তিন ছেলে। বড় ছেলে দৌলত মিয়া পৈতৃক জমি লিখে দিতে তার মাকে বেশ কিছুদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিল। এর মধ্যে অপর দুই ভাই মা জীবিত থাকতে জমি লিখে না দেওয়ার পক্ষে ছিল। এ অবস্থায় দৌলত মিয়া প্রায় গোপনে ও প্রকাশ্যে বৃদ্ধ মাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল। গত বুধবার সকালে ফের মাকে বলে সে দিনই জমি লিখে দিতে বলে। অন্যথায় অঘটন ঘটবে। এ সময় বৃদ্ধ মা ছেলেকে শাসন করলে ছেলে দৌলত ক্ষিপ্ত হয়ে একটি লাঠি দিয়ে মাকে পিটাতে শুরু করে। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যায় মা। এ সময় পুত্রবধূ সুফিয়া বেগম ও নাতি জুনাঈদ আহত বৃদ্ধাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির বাইরে বের করে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কেন্দুয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারে বৃদ্ধার ডান হাত ভেঙে গেছে ও মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় নেত্রকোনসা সদরে।
আহত বৃদ্ধা কোকিলা জানান, ছেলে ছাড়াও ছেলের বউ ও নাতিরা তাঁকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মেরেছে। তিনি এ ব্যাপারে ছেলে, ছেলের বউ ও এক নাতিকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন। কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক হওয়ায় দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/4006
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন