নেত্রকোনার মদন উপজেলায় এক তরুণীকে (১৮) বিয়ে না করতে পেরে তার ১০ বছর বয়সী চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ অভিযোগে জাকিম মিয়া (২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা।
গতকাল বুধবার রাতে জাকিমের বিরুদ্ধে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন তিনি। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত জাকিম মিয়া। জাকিম ও ভুক্তভোগী শিশু একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের সমুজ আলীর ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ওই শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ‘প্রতিবেশী সমুজ আলীর ছেলে জাকিম আমার বড় ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমি এতে অসম্মতি জানাই। এরপর জাকিম আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে আমার ভাতিজিকে আমরা অন্যত্র বিয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে আমি জমিতে সেচ দিয়ে বাড়িতে আসার পথে বাড়ির সামনের মাঠে অচেতন অবস্থায় আমার মেয়েকে দেখতে পাই। বাড়িতে আনার পর জ্ঞান ফিরলে সে ধর্ষণের ঘটনা বলে। এ ঘটনার পর জাকিমের পরিবারের লোকজন আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি এর বিচার চেয়ে গতকাল বুধবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।’
জাকিমের মা তাজমহল বেগম বলেন, ‘ওই শিশুর চাচাতো বোনের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে কথা দিয়ে অন্যত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে। আমার ছেলেকে ফাঁসাতে চক্রান্ত হচ্ছে।’
জাকিম এখন কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ১০ দিন আগে চট্টগ্রাম চলে গেছে চাকরির সন্ধানে। ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে মদন থানায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জাকিম মিয়াকে আসামি করে গতকাল বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীকে আজ বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।