English

31 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে মিলল ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতির রক্তাক্ত লাশ

- Advertisements -

ঝালকাঠিতে এক আওয়ামী লীগ নেতার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে স্থানীয় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম আল আমিন।

প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে রিপনের পরকীয়া ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ওই নারীকে রাতেই আটক করা হয়েছে।

পুলিশ রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের আলামত দেখে রিপন হত্যার শিকার হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি থানার সেকেন্ড অফিসার গৌতম কুমার ঘোষ।

Advertisements

পুলিশ, নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষ্ণকাঠি মল্লিক বাড়ির বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা রিপন মল্লিক প্রায়ই সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আসা যাওয়া করতেন।

প্রবাসীর ছেলে গত ৪ দিন আগে ঢাকায় যায়। প্রবাসীর স্ত্রী ঘটনার দিন সোমবার রাতে তার ঘরে একা ছিলেন।

রিপনের প্রতিবেশী হারিছ হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০ টায় ওই নারী তার ঘরের ভেতর থেকে ডাক চিৎকার করছিলেন। এসময় আশপাশের মানুষ ঘরে ঢুকে দেখি রিপন মল্লিক অর্ধ উলঙ্গ এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পরে ছিলো।

সবাই মিলে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক রিপন মল্লিককে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর আমরা রিপনের লাশ তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিই।

Advertisements

নিহত রিপনের ছোট ভাই সমীর মল্লিক বলেন, ‘আমাকে স্থানীরা ফোনে জানায় আমার ভাইকে মেরে মাথা ফাটিয়েছে। তারপর আমি ওই নারীর ঘরে এসে দেখি মেঝেতে রক্ত লেগে আছে। তখন ওই নারী তার ঘরেই বসা ছিলেন।

অভিযুক্ত নারীর বোনের ছেলে লিয়ন হোসেন বলেন, আমার খালা ও খালু রিপন মল্লিকের কাছ থেকে জমি কিনেছেন। সেই সুবাদে রিপন মল্লিক আমার খালার বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। রিপন মল্লিকের সঙ্গে তার ভাই সমীর মল্লিকের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে ঘটনার রাতে কেনে রিপন মল্লিক খালার ঘরে এসেছিলেন তা আমাদের জানা নেই।

এই হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে ঝালকাঠি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিতুল ইসলাম বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় এটি হত্যাকাণ্ড। যে নারীর ঘরে হত্যা করা হয়েছে সেই নারীর সঙ্গে রিপনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলেও তথ্য পেয়েছি।

আমরা ওই নারীকে আটক করেছি। রিপন মল্লিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন