English

34 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

বগুড়ায় পুলিশ-হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষ, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৭

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

বগুড়া সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষে দুই শিশুসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া হরতাল সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ আরও আটজন আহত হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীনের গাড়ি ভাঙচুরের পর রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বাঘোপাড়া খোলারঘরে এ সংঘর্ষ ঘটে।

গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলার বাঘোপাড়া খোলারঘরে আব্দুর রবের ছেলে মহিউদ্দিন মাহি (৮), মাকসুদুরের ছেলে আওলাদের (১৫) নাম জানা যায়। বাকি পাঁচজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এদের মধ্যে শিশু মাহি বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

পিকেটারদের হামলায় আহত তিন সাংবাদিক হলেন- দৈনিক করতোয়ার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রাহাত রুপান্তর, দৈনিক জয়যুগান্তরের সাব্বির শাকিল ও এনসিএন নামে এক অনলাইন নিউজ পোর্টালের রিপোর্টার ববিন রহমান। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত ডিবি পুলিশের দুই সদস্য হলেন- ইসমাইল ও মোস্তাফিজুর। তারা সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এছাড়া রোগীবাহী মিনিবাসে থাকা তিনজন রোগী হলেন- সাগরিকা (৩০), নাহিদা (৩৫) ও লুৎফন্নেছা (৫৫)। তারা টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা হরতালের সমর্থনে মহাসড়কে খোলারঘরে স্থানীয় প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ এসে বুঝিয়ে তাদের সড়ক থেকে তুলে দেন। এরপর আবারো তারা মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কয়েকটি বাস, ট্রাক ও অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।

বগুড়া সদর উপজেলার ইউএনও ফিরোজা পারভীন লাহেড়িপাড়া ইউনিয়নের একটি মন্দির পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটিও ভাঙচুর করেন হরতাল সমর্থকরা। একই সময় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের বিনামূল্য রোগীবাহী দুইটি মিনিবাসও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় মিনিবাসে থাকা জয়পুরহাটের তিন রোগী আহত হন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মারধরের স্বীকার হন তিন সাংবাদিক।

খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে গেলে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন হরতাল সমর্থকরা। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়লে দুই শিশু ও পাঁচ হরতাল সমর্থক আহত হন। হরতাল সমর্থকদের হামলায় ডিবির দুই সদস্য আহত হন।

বগুড়া সদর উপজেলার ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, উপজেলার একটি মন্দির পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে তবে হতাহত নেই। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিদর্শক তানজিলা আক্তার বুলবুলি বলেন, কিছু দুর্বৃত্তরা হঠাৎ বাসে হামলা করে। রোগীদের বহন করা হচ্ছে বলার পরও তারা ছাড় দেয়নি। তাদের বেশিরভাগই কিশোর ছিল। বাস ভাঙচুরের পাশাপাশি রোগীদেরও মারধর করা হয়।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, গুলিবিদ্ধ সাতজন এখানে এসেছিলেন। ছয় জনের হাত ও পা থেকে গুলি বের করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এক শিশুর চোখে গুলিবিদ্ধ গুরুতর জখম আছে। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বগুড়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজ হাসান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়েছে। প্রথমে হরতালকারীরা আমাদের সদস্যদের ওপর হামলা করে। সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন