English

30 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

রাঙামাটিতে দু’পক্ষের গুলি বিনিময়, নিহত ৪

- Advertisements -

রাঙামাটির রাজস্থলীতে আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছে। প্রথমে তিনজনের নিহতের খবর জানা গেলেও পরে আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানা যায়।

Advertisements

মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার ৩ নম্বর গাইন্দ্যা ইউনিয়নে পাইন্দ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম অং থোয়াই মারমা (৪৫)। তিনি এমএলপি’র পরিচালক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তবে এখন পর্যন্ত আহত ও বাকি তিন নিহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিহতদের লাশ উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার ৩ নম্বর গাইন্দ্যা উইনিয়নের পাইন্দ পাড়ায় পাহাড়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেএসএস ও এমএলপি পার্টির সদস্যদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের মধ্যে চলে ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময়। এসময় ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় চারজন। গুলিবিদ্ধ হয় আরও দু’জন। তবে তারাও আশঙ্কাজনক। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় সেনা সদস্যরা। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দু’গ্রুপের সদস্যরা জঙ্গলে পালিয়ে যায়। তবে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Advertisements

রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার ৩ নম্বর গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিং মং মারমা জানান, ঘটনাটি রাঙামাটি-বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকার পাইন্দ পাড়ায়। সেখানে কোনো মানুষের বসতি নেই। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আনাগোনা থাকায় ওই এলাকার আশপাশে যে গ্রাম আছে, সেখানেও ভয়ে কেউ বসবাস করতে চায় না। জনপ্রতিনিধিদেরও সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় থাকতে হয়। কারণ ওখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অশান্তি লেগে থাকে। তাই যারা নিহত হয়েছে, তাদের নাম-পরিচয় আমরা জানতে পারিনি। তবে ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. মীর মোদদাছছের হোসেন বলেন, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খুবই দুর্গম। পায়ে হেঁটে যেতে হয়। তাই লাশ উদ্ধারের সময় লাগবে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। লাশ উদ্ধারের পর বিস্তারিত জানা যাবে। আপাতত পরিবেশ-পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আছে। বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন