English

37 C
Dhaka
রবিবার, মে ১১, ২০২৫
- Advertisement -

শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

- Advertisements -

চট্টগ্রামের পটিয়ার শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১২ গুণ বেশি দামে বৈদ্যুতিক পাম্প কেনার মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান প্রকৌশলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ অক্টোবর দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদি হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স পাওয়ার টেক ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল আলীম, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী ভুবন বিজয় দত্ত, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড, রাজশাহী বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) এএইচএম কামাল, নকশা ও পরিদর্শন পরিদফতর-১ এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তোফাজ্জেল হোসেন, পিডিবির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবু ইউসুফ এবং চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক (নির্বাহী প্রকৌশলী) মিজানুর রহমান।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টটির ইপিসি ঠিকাদার ছিল মেসার্স সিনোহাইড্রো করপোরেশন, চীন এবং জিটি মেইন ইক্যুইপমেন্টের (টারবাইন, জেনারেটর, কম্প্রেসার) প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হলো জার্মানির প্রতিষ্ঠান সিমেন্স। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ দুটি বৈদ্যুতিক পাম্পের।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ক্রয় পরিদফতর পাম্প ক্রয়ের জন্য ২০১৬ সালে সাত সদস্যের একটি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি এমনভাবে শর্ত দেয়, যাতে পাওয়ারটেক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ ঠিকাদারি কাজে অংশ নিতে না পারে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানই বৈদ্যুতিক বিশেষ পাম্পগুলো সরবরাহের কাজ পায়। পরে ভারত থেকে আসে বিশেষ পাম্পগুলো।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৩ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যে পিডিবির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন হলেও সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মাত্র ৩০ হাজার ১৭ ডলার ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় এলসির মাধ্যমে ভারতে পাঠায়। এতে ঠিকাদারের লাভ ২০ শতাংশ ধরা হলেও পাম্পের খরচ দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ২১ মার্কিন ডলার। বাকি ৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৯ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, পটিয়ার শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা এরা লোপাট করেছে। এ অভিযোগের কারণে পাওয়ার টেক ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল আলীম, শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ভূবন বিজয় দত্তসহ মোট ছয়জনকে দায়ী করে কমিশনের কাছে মামলার সুপারিশ চাওয়া হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে আজ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, শুধু চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আরও কয়েকটি প্রকল্পেও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেগুলোর অনুসন্ধানও করা হচ্ছে বলে জানান দুদক সহকারী পরিচালক।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন