সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫জন আহত হয়েছেন। তারমধ্যে আটজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ ১২ আটক করেছে পুলিশ। একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক উদ্ধার করেছে।
পুলিশ এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা গেছে, নাদামপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়ার সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা নজির হোসেনের মধ্যে গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার গ্রামের এক ব্যক্তির চল্লিশদিনের শিরনিতে সিরাজ মিয়ার সাথে নজির হোসেনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার দুপুরে নজির হোসেনের পক্ষের লোকজনের হাতে সিরাজ মিয়া লাঞ্ছিত হন। এরপর সিরাজ মিয়ার পক্ষের লোকজন বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। কমপক্ষে ১০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিরাজ মিয়ার নামের একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক উদ্বার করে আটজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- ফটিক মিয়া (৩৫), বিবিনুর বেগম (৫০), ফাতেমা বেগম (১৪), আব্দুল আলীম (৩০), হাফিজুর রহমান (২৫), মিটু মিয়া (২২), তাসলিমা (১৪), রুমেজ মিয়া (৩২)।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক শাহ আলম সিদ্দিকী জানান, গুলিবিদ্ধ আট জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি বন্দুক উদ্ধার ও ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য