English

32 C
Dhaka
শনিবার, মে ৩১, ২০২৫
- Advertisement -

স্বামীর কোপে স্ত্রীর হাত বিচ্ছিন্ন, স্থানীয়দের গণপিটুনিতে স্বামী নিহত

- Advertisements -

নওগাঁয় মাদকাসক্ত হয়ে নিজ শয়নঘরে স্ত্রীকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর পর স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহতহয়েছেন ওই নারীর স্বামী।

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের আনন্দনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম সুমন আলী (৩২)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের মোহাম্মদ বাবুর ছেলে। সুমন আলী পেশায় একজন গৃহনির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।

স্থানীয় এবং থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩-৪ বছর আগে শহরের আনন্দনগর এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে মৌয়ূরী (২৪)-এর সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই সুমন আনন্দনগর এলাকায় শ্বশুরবাড়ীতে থাকতেন। সুমন বিভিন্ন সময় নেশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করতেন এবং স্ত্রীকে সাংসারিক কোনো খরচ দিতেন না। বুধবার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করেন। ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে হাসুয়া দিয়ে স্ত্রীর গলা এবং হাতে কোপ দেন। এতে তার স্ত্রীর বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় এবং থানা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার করে তাকে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিলে মৌয়ূরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

মাদক এবং নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ায় সুমন তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার ঘটনার পর পর উত্তেজিত এলাকাবাসী সুমন আলীকে বেদম মারপিট করলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। গণপিটুনিতে আহত সুমন আলীকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২৫০ শয্যা নওগাঁ সদর হাসপাতালে তিনি মৃত্যবরণ করেন।

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে, ওই নারীর স্বামী সুমন আলী এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে মারা যান। সুমনের মাথায় শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মৃত্যুবরণ করেন। মৌয়ূরীর হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ যোগাযোগ করেননি। মরদেহ নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেননি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন