নেত্রকোনার পূর্বধলায় ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম ও কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বলাকা কমিউটার ট্রেনের টিকিট মাস্টার সিরাজুল ইসলামসহ তিনজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে পূর্বধলা রেল স্টেশনের বলাকা কমিউটার টিকিট কাউন্টার থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক বাকি দুজন হলেন- টিকিট কাউন্টারের এজেন্ট বদরুল আলম ঝুমন (২৮) ও কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা আবুল কাশেমসহ (৪০)।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, জারিয়া-ময়মনসিংহ রেলপথের বলাকা কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা প্রতিনিয়তই টিকিটের জন্য ভোগান্তি পোহাতেন।
পূর্বধলা থেকে ঢাকার টিকিটের মূল্য ৯৫ টাকা নির্ধারণ থাকলে যাত্রীদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্তও নিতেন কালোবাজারিরা। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট ক্রয় করতেন। বিষয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানতে পেরে পূর্বধলা রেল স্টেশনে অভিযানে নামে।
এসময় যৌথাবাহিনী তিনজনকে আটক করে। প্রথমে যৌথবাহিনী অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রথমে টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে পরবর্তীতে টিকিট বিক্রির টাকা এবং বিক্রি হওয়া টিকিটের সঙ্গে মিল না থাকায় যৌথ বাহিনী তাদেরকে আটক করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে ফৌজধারী কার্যবিধির ১৫৭ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।