কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্তানকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন, রেশমা খাতুন (২৫) ও লামিয়া খাতুন (৩)। রেশমা খাতুন ওই গ্রামের প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লামিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। অর্থাভাবে তার সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেননি মা রেশমা। প্রবাসী স্বামী রহিদুল ইসলাম নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন না এবং সংসারের খরচও দিতেন না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক সংকট ও অশান্তিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে রেশমা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল বলেন, শিশু সন্তানকে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন। সন্ধ্যায় বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক সংকট, শিশুর অসুস্থতা ও পারিবারিক অশান্তি থেকে হতাশ হয়ে রেশমা খাতুন তার শিশুকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
