English

31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
- Advertisement -

টঙ্গীবাড়ীতে ছেলে সেজে প্রেম, নারী পাচার চক্রের ৪ সদস্য আটক

- Advertisements -

মুখের কথা, চুলের স্টাইল, পোশাক আশাক সবই ছেলেদের মত নাম রেখেছেন রায়হান প্রেম করেছেন মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রী ঋতুর (১৬) সঙ্গে। কথিত প্রেমিক ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভনে সহযোগীদের নিয়ে ঋতুকে অপহরন করে নিয়ে তুলে দেয় তারমা মুক্তা বেগমের হাতে।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার মাকুহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ঋতু নিখোঁজের ঘটনায় তার পিতা উপজেলার কাঠাঁদিয়া গ্রামের বিল্লাল মুন্সী থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ জেলার সদর থানাধীন জোর পুকুরপাড় পূর্ব পাড়া কাজলের বাড়ী থেকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।

Advertisements

উদ্ধারকৃত ঋতু জানান, আমার সাথে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে মুক্তা বেগমের মেয়ে স্মৃতি (১৫) ছেলে সেজে প্রেম করে আসছিল। তার মা মুক্তা, বাবা রবিউল তাকে সহযোগীতা করত। ২১ জুলাই বুধবার ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১১ টায় আমাকে স্মৃতি নিজেকে রায়হান পরিচয়ে তার মা, বাবা ও সৎ মা কে সঙ্গে নিয়ে অটো রিক্সায় করে গোপনে নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে আমি বুঝতে পারি আমার প্রেমিক রায়হান আসলে ছেলে নয় মেয়ে। তারা আমাকে ৩ দিন আট কিয়ে রেখে নির্যাতন কওে খারাপ কাজ করার কথা বলে আমি রাজি না হওয়াতে তারা আমাকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

ঋতুর পিতা বিল্লাল মুন্সী জানান, আমার প্রতিবেশী চাচাত বোন মুক্তা আর তার মেয়ে স্মৃতিকে যোগ সাজসে ছেলে সাজাইয়া আমার মেয়েকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে অপহরন করিয়া নিয়া যায়। যৌন শোষন, নিপিড়নের উদ্দেশ্যে অন্যত্র স্থানান্তরের প্রস্তুতির সময় ঋতুকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার কওে মামলা দায়ের করেছি।

Advertisements

মামলার তদন্ত কর্মকতা আল মামুন জানান, স্মুতি, মুক্তা, রবিউল, হিজরা শাকিলা সংঘবদ্ধ নারী ও শিশু পাচারকারী চক্র। তারা কৌশলে উঠতি বয়সি মেয়েদের অপহরন করে অশ্লিল কাজ করানো সহ বিভিন্ন স্থানে পাচারের সহিত জড়িত মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

টঙ্গীবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জানান, স্মৃতি মেয়েটি খুবই স্মাটলি ছেলেদের মত কথা বলে, পোশাক, হেয়ার স্টাইল ছেলেদের মত কৌশলে স্কুল পড়ুয়া ঋতুর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তুলে নিয়ে তার মা মুক্তার হাতে তুলে দেয়। ঋতুকে স্মৃতির মা মুক্ততার স্বামী রবিউলের হাতে তুলে দেয় আর রবিউল তার আরেক স্ত্রী হিজরা শাকিলার মাধ্যমে পাচারের সময় স্মৃতি ও মুক্তাকে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরন ও পাচারের ঘটনা জানান তাদের দু’জনের কথা মত পরবর্তীতে অপর দুজনকে আটক করা হয়। ২৪ জুলাই শনিবার স্মৃতি ও মুক্তাকে আদালতে পাঠানো হলে তারা দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি প্রদান করেন আর ২৫ জুলাই রবিউল ও হিজরা শাকিলাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন