মনিকগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক এবং তার ঘরে ঢুকে অনৈতিক কাজের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম মুনজেল (৪৫) নামের বিএনপির এক নেতা। পরে তাকে রাতভর গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছেন গ্রামবাসী। গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটে।
সিরাজুল ইসলাম মনজেল ধামশ্বর ইউনিয়নের গালা গ্রামের মৃত শিরজন আলীর ছেলে এবং ধামশ্বর ইউনিয়নের বিএনপির দপ্তর সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, ধামশ্বর ইউনিয়নের চরদেশ গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সিরাজুল ইসলাম মনজেলের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কানাঘুষা চলছিল। গতরাতে যখন মো. সিরাজুল ইসলাম মনজেলকে গ্রামের কয়েকজন লোক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করতে দেখেন, তখন তারা ওত পেতে থাকেন। তারপর অনৈতিক কাজের সময় হাতেনাতে ধরে গ্রামবাসী তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
এ বিষয়ে ধামশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস বলেন, এই ঘটনায় দু’পক্ষের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসেছি। প্রবাসী ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে আর সংসার করতে চায় না বলে ফোনে জানিয়েছেন। এ ঘটনার পরে প্রবাসীর স্ত্রী ও মো. সিরাজুল ইসলাম মনজেল বিয়ে করতে রাজি। তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ বিষয়ে রাজি হয়েছেন। সে কারণে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। সিরাজুল ইসলাম মনজেল ধামশ্বর ইউনিয়নের বিএনপির দপ্তর সম্পাদক বলেও তিনি জানান।
ধামশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান পিন্টু বলেন, ‘রাত ২টার দিকে এলাকাবাসী তাদের আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। তারা দুজনেই অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। ওই নারীর প্রবাসী স্বামী এখন তাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্তরা বিয়ে করতে রাজি আছেন। এখন সামাজিকভাবে মীমাংসার করে বিয়ে পরিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ এবং ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। আর দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এম আল-মামুন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছেন।’
এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।