English

30 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

লালন-পালনের কথা বলে শিশুকে বিক্রি, গ্রেফতার ২

- Advertisements -

লালন-পালনের কথা বলে ১৭ মাসের এক শিশুকে গাজীপুর থেকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে শিশুটিকে চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী ও শিশুটির ক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের রিমান্ড আবেদনসহ গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Advertisements

উদ্ধারকৃত শিশুর নাম মো. রুহান মোস্তফা (১৭ মাস)। সে রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানাধীন চালকুঠি এলাকার মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে। শিশুটির বাবা-মা গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন উত্তর বিলাশপুর এলাকায় সামাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

গ্রেফতার অপহরণকারী মো. শরিফুল আলম লিটন (৪৫) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার কোদালিয়া এলাকার মো. শফিউল আলম ওরফে হকা মেলেটারির ছেলে। তিনি অপহৃত শিশুটির বাবা-মায়ের ভাড়া বাড়িতে পাশাপাশি কক্ষে ভাড়া থাকেন।

অপরদিকে শিশুটির ক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৯) চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন চর মাছুয়া এলাকার মো. আক্কাছ আলী মোল্লার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন উত্তর বিলাসপুর এলাকায় দুলাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

Advertisements

জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, শিশুটির বাবা-মা গত ১০ জানুয়ারি গ্রামের বাড়ি থেকে গাজীপুরে এসে ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরে তারা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি নেন। আসামি মো. শরিফুল আলম লিটন তাদের পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া। পাশাপাশি কক্ষে থাকার কারণে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়।

এ সুযোগে আসামি কৌশলে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। আজিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী দুজনই চাকরি করার সুবাদে আসামি শরিফুল আলম লিটন শিশু রুহান মোস্তফাকে লালন-পালন করার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং আজিজুলকে তা জানান।

আজিজুল ইসলাম সরল মনে বিশ্বাস করে তার শিশু সন্তানকে লালন-পালন করার দায়িত্ব দেন। এজন্য আজিজুল আসামিকে মাসিক ৩ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি আরও জানান, গত ১১ জানুয়ারি আজিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শিশু সন্তানকে আসামির কাছে রেখে কর্মস্থলে চলে যান। এই সুযোগে মো. শরিফুল আলম লিটন শিশুটিকে অপরহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে শিশুটিকে মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। মো. জাহাঙ্গীর আলম শিশুটিকে নিয়ে চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতে চলে যান।

অপরদিকে অপহরণকারী মো. শরিফুল আলম লিটন দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে সর্বশেষ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন যৌনপল্লী এলাকায় আত্মগোপন করেন।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গত বুধবার রাতে (২২ ফেব্রুয়ারি) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন যৌনপল্লী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলমের গ্রামের বাড়িতে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে শিশু রুহান মোস্তফাকে জাহাঙ্গীর আলমের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়।

শিশুটির বাবা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি আমার ছেলেকে লালন-পালন করার জন্য দিয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম সে হয়ত আমার ছেলেকে লালন-পালন করছে। কিন্তু সে আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করে সন্তানকে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে বুধবার থানায় অভিযোগ করি। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দিয়েছে।

জিএমপির সহাকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) আহসানুল হক জানান, গ্রেফতারের পর আসামিদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়।

পরে আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। উদ্ধার শিশুটিকে আদালতের মাধ্যমে বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন