গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান- বগুড়াঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় রাম দায়ের কোপে ১ মৎস্য ব্যবসায়ী আহতের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় থানায় মামলার পর জড়িত অভিযুক্ত মাদক কারবাবী নারী সহ ৬ সন্ত্রাসকে আটক করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।
আহত ব্যক্তি ওই গ্রামের জয়েন ফকির এর পুত্র নূর আলম (৩৫)। বর্তমান তিনি জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের মাচইল গ্রামজুড়ে চলছে মাদক-কারবার। বর্তমানে মাদকে আঁকড়া হিসেবে পরিচিত মাচইল। এখানে হাত বাড়লেই প্রকাশ্যে মেলে সকল ধরনের মাদক। শুধু প্রয়োজন টাকা। মাচইল গ্রাম জুড়েই চলে এ মাদক ব্যবসা। আর এর প্রতিবাদ করেছিল মৎস্য ব্যবসায়ী নূর আলম। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ নূর আলমের প্রতিবাদের জের ধরে সুমনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো হাসুয়া ও রামদা নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। এতে নূর আলম জীবন বাঁচাতে দৌঁড় দিলে তাকে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সুমন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বাহিনী পালিয়ে যায়। এঘটনায় নূর আলম এর বোন ফরিদা বেগম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে শিবগঞ্জ থানায় ১টি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার আসামীরা হলো, মোজাফ্ফর হোসেন এর পুত্র সুমন (৩২), জব্বার হোসেন এর ছেলে মোজাফ্ফর হোসেন (৪৮), মোজাফ্ফর হোসেন এর পুত্র তৌহিদ (২০) সাকিব (২৩) মোজাফ্ফর হোসেন এর স্ত্রী শাহিনুর বেগম, মহাতাব হোসেন এর স্ত্রী তাজে বেগম (৪২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, নূর আলমের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু করে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে৷ বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান। এলাকার সচেতন সমাজ সেবকেরা বলেন, ’আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। কিন্তু এই সুমন এলাকার যুবসমাজকে মাদক দিয়ে ধ্বংস করছে। ওর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা করে। তারই প্রমাণ মৎস্য ব্যবসায়ী নুর আলমের ওপর হামলা। যে কি-না প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে পড়ে আছে। ‘ভুক্তভোগী নুর আলমের বোন ফরিদা বেগম এ মাদক-কারবারী আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।