নরসিংদীর রায়পুরা পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া থেকে তিন কন্যা শিশুকে একটি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল এক ব্যক্তি। ইজিবাইকটি পৌর এলাকার হরিপুর পৌঁছানোর পর শিশুদের চিৎকারে পথচারী ও স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে ওই ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহ আটকের পর স্থানীয়রা মারধর করে থানায় সোর্পদ করে। আজ শনিবার দুপুর একটার দিকে রায়পুরা পৌর এলাকার হরিপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ওই ব্যক্তি জানান, তার নাম সোহেল মিয়া (২৫)। তিনি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের কামালপুর এলাকার আল আমিন মিয়ার ছেলে।
খবর পেয়ে ওই তিন শিশুর বাবা-মা এসে তাদের সন্তানদের নিয়ে গেছেন। উদ্ধারকৃত শিশুরা হলো, পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ইজিবাইক চালক নয়ন মিয়ার মেয়ে বিথী (১০), বাদশা মিয়ার মেয়ে আদিবা (৮) ও হালিম মিয়ার মেয়ে ঝুমা (৬)।
শিশু বিথী বলেন, প্রথমে ওই লোক আমাকে জিজ্ঞাসা করেন আমি নয়নের মেয়ে কিনা। উত্তরে আমি হ্যাঁ বলি। তিনি জানান, ভাড়া বাবদ বাবা তার কাছে ২০০ টাকা পাবে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে একটি ইজিবাইকে করে আমাকেসহ দুই খালাতো বোনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। কিছু দূরে যাওয়ার পর আমরা ভয়ে চিৎকার শুরু করি। তারপর আশপাশের লোকজন এসে গাড়ি থামিয়ে তাকে আটক করে।
আটককৃত সোহেল জানান, তিনি ছেলেধরা না। করোনায় কাজ হারিয়ে অভাবে চুরি পেশায় নেমেছেন। মূলত শিশুদের কানের দুল চুরি করতে তাদেরকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগেও রায়পুরা পৌর এলাকা থেকে একবার স্বর্ণের গহনা চুরির কথা স্বীকার করেন তিনি।
রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল জানান, এব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরো বিস্তারিত জানা যাবে। বর্তমানে তিনি থানার হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন