English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার নিয়ে টানাটানি করলেই জুতাপেটার ঘোষণা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতদের দাপট ও ব্যালট পেপার নিয়ে টানাটানি ঠেকাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছেন। প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি হুংকারে উত্তপ্ত হচ্ছে চরের এ জনপদ। তবে দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
‘ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতরা মহিলাদের ব্যালট পেপার নিয়ে টানাটানি করলে জুতাপেটা করলে পুরস্কার দেওয়া হবে’ এক প্রার্থীর এমন ঘোষণা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু (মোটরসাইকেল) ও খালেদ সাইফুল্লাহ (হাতপাখা) এ ‘যুদ্ধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ প্রতিদিন প্রচারণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাদের অনুসারীদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে পথসভায় তার সাফ বক্তব্য- ‘ভোটে বহিরাগত ক্যাডাররা এলে পা ভেঙ্গে রেখে দিবো। তারা (বহিরাগত) আসার আগে যেন মা-বাবা, স্ত্রী-ছেলে-মেয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসে।’
বক্তব্যে নারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে ব্যালট পেপার নিয়ে কেউ টানাটানি করলে পায়ের জুতা খুলে দুই গালে ঠাস-ঠাস করে বাড়ি দিবেন। তাহলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পাবেন। আর একটা জুতাপেটা দিলে আমি ৫ হাজার টাকা দিবো।’ তার এ বক্তব্য ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে চরকাদিরার বটতলা বাজারে বুধবার রাতে আশরাফ উদ্দিন রাজন এক পথসভা করেন। তিনি সেখানে বক্তব্যে বলেন, ‘নির্বাচনে বহিরাগতরা এলে তাদেরকে বেঁধে রাখবেন। আর সবাই ভোটের দিন লাঠি প্রস্তুত রাখবেন। যেন বহিরাগতরা কেউ ফেরত যেতে না পারে।’
এরআগেও আশরাফ উদ্দিন রাজন বক্তব্যে প্রকাশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম নুরুল আমিন রাজুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছেন। নৌকা দেওয়ার কথা বলে এক ইউনিয়নে একজনের কাছ থেকে নয়, ৩-৪ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তার কাছ থেকে টাকা নিয়েও নৌকা দেননি। এজন্য টাকা ফেরত চেয়ে নুরুল আমিন রাজুকে বহিষ্কার করাও দাবিও তোলেন তিনি।
তবে নুরুল আমিন রাজু বলেন, আশরাফ উদ্দিন রাজন উপজেলা নির্বাচনে আমার সঙ্গে বিদ্রোহী নির্বাচন করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, চরকাদিরার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। আমিও বিষয়টি অবগত নয়। রিটার্নিং অফিসারকে খবর নিতে বলবো।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন