মোঃ আলাল উদ্দিন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থমকে যায় ভৈরব থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানার কার্যক্রম। ভৈরব থানায় হামলা ও লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আতঙ্কে গা- ঢাকা দেন ভৈরব থানা পুলিশ সদস্যরা। অবশেষে ৪ দিন পর সেনাবাহিনী সদস্যদের সহায়তায় আজ দুপুরে ভৈরব স্টেডিয়ামে অস্থায়ী কার্যালয়ে ভৈরব থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হোসেন মোহাম্মদ মাসিহুর রহমান
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ তরিকুল ইসলাম, লেঃ কর্নেল ফারহানা আফরিন, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ – সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফুল আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল মনসুর,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম (এসপি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাক সরকার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ভৈরব সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রেদোয়ান আহমেদ রাফি,ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম,ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হাজী মোঃ শাহীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামের কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিটের সদস্য মোঃ কামরুল ইসলাম, প্রমূখ। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, ভৈরবের বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকবৃন্দ।
পরে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ ভৈরব থানা পরিদর্শন করেন। এবং বিভিন্ন আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়িসমূহ দেখেন। মেজর জেনারেল হোসেন মোহাম্মদ মাসিহুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন অচিরেই লুটপাট কৃত অস্ত্র মালামাল ফেরত দিচ্ছেন ইতিপূর্বেও দিয়েছেন। এবং থানার নির্মাণ সহ অন্যান্য সরন্জাম ভৈরব বাসীর সহযোগিতায় দ্রুতই নিরসন করা হবে বলে জানান।
একই সাথে থানার বিভিন্ন ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন ভৈরবের বিএনপির কোন সদস্য এসব কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নন। এবং তার দলের নেতা কর্মীদের সহযোগিতায় ও ছাত্র সহ ভৈরবের সচেতন নাগরিকদের আন্তরিকতায় থানার লুটপাট কৃত মালামাল উদ্ধার হয়েছে আরো হবে। এব্যাপারে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। এবং এখন থেকে ভৈরবের কোথাও কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটালে প্রশাসন ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ তা কঠোরভাবে দমন করবেন। এসময় বিএনপির উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।