English

34 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত স্বামীর মৃত্যুর ৪ ঘণ্টার মাথায় স্ত্রীর মৃত্যু

- Advertisements -

কিডনী ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর রাজধানীর কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হন শেরপুরের ব্যবসায়ী রফিকুর রহমান (৬৩)। পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে মারা যান রফিকুর। এর ৪ ঘণ্টা পর মারা যান তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৫২)।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ৪ দিন ধরে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আম্বিয়া খাতুন। করোনা পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে বুধবার সকাল ১০টার দিকে জেলা হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেয়ার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর পর পরই তার মৃত্যু হয়।
স্বামীর মৃত্যুর খবর তিনি জানতেন না। এদিকে, রফিকুর-আম্বিয়া দম্পতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে তাদের আবাসস্থল শহরের মাধবপুর এলাকায়। বিকেলে তাদের মরদেহ বাড়ির আঙিনায় রাখা হলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। দুই সন্তান, পরিবারের সদস্য, শুভাকাঙ্খীদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
রফিকুর রহমান ছিলেন শেরপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রয়াত ফসিহুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে এবং শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমানের বড় ভাই। তাদের মৃত্যুতে স্থানীয় সাংসদ আতিউর রহমান আতিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীল রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, শেরপুর প্রেসক্লাব, সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, শেরপুর টাইমস পরিবার, শেরপুর ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকেও গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি তাদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
রাতে শেরপুর শহরের তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা মাঠ নামাজে জানাযা শেষে চাপাতলি পৌর কবরস্থানে এই দম্পতির মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন