মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘরেই ঈদ করবে ২০টি পরিবার। উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ যাদের নিজের ছিল না জমি ছিলনা বসবাসের মত ঘর। অতিকষ্টে দিনকামাইয়ের মাধ্যমে খেয়ে বেঁচে থাকলেও দুঃখ দূর্দশা ছিল তাদের নিত্য সঙ্গী। দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় টঙ্গীবাড়ীর আব্দুল্লাহপুরে ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে জমি সহ সেমিপাকা বসত ঘর।
সরজমিন মঙ্গলবার উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের নশংকর ভূমি ও বসতঘর নির্মান প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ২ শতক জমির উপর সেমিপাকা এসব বাড়িতে রয়েছে একটি বারান্দা, দুটি শোবার ঘর, একটি গোসল খানা, টয়লেট, রান্না ঘর, বিদ্যুৎ ও পানি। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা অনেকেই ভিক্ষুক, দিনমজুর, আশ্রিতা, গৃহকর্মী, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক তারা অপেক্ষা আছে দ্রুত ঘর বুঝে পাওয়ার আশায়।
প্রকল্পের সভাপতি ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নাহিদা পারভিন জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি নিবিড়ভাবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। জমি নির্বাচন থেকে শুরু করে উপকারভোগী বাছাই, কাজের মান যাচাই, প্রতিটি ধাপে স্থাানীয় জনপ্রতিনিধি সংযুক্ত ছিলেন।
উপজেলার কামারখাড়ার নির্মানাধীন ৮টি ঘরের ৯৫% নির্মান কাজ শেষ। আসন্ন ঈদের পূর্বে নির্মিত ঘড় গুলো বরাদ্দ প্রাপ্তদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, উপজেলা আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীন আব্দুলাপুর ইউনিয়নের ১২টি ঘরে বসবাস করছে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। কামারখাড়ার ইউনিয়নের নশংকরে নির্মানাধীন ৮টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।