ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে তেলের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে জ্বালানি তেল ও এলএনজি আমদানিতে কোনো প্রভাব পরেনি। তাই আগামী মাসে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘ইতোমধ্যেই বিপিসির একটি জাহাজ চলে এসেছে। যদি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে মনে হয় না এটার প্রভাব পড়বে না। আমরা তেলের দামও বাড়াব না, ভর্তুকিও বাড়াব না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানিখাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। জ্বালানিখাতে ভর্তুকি অনেক বেশি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন, অন্যথায় কোনো চুক্তি অনুমোদিত হবে না।
এর আগে জালালাবাদ গ্যাস ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের সঙ্গে গ্যাস বিক্রির একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় লাফার্জ তার ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৬ এমএমসিএফডি গ্যাস পাবে।
লাফার্জহোলসিমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী এবং জালালাবাদ গ্যাসের কোম্পানি সচিব জিতেন্দ্র কুমার দাস নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি, স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিসতিয়াগা ওচোয়া দ্যা চিনছেক্র, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান এবং জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।