জুনে সমাপ্ত হওয়া আগের অর্থবছরে চাল আমদানিও করতে হয়নি।
বাংলাদেশ ছোট্ট একটি দেশ, অথচ রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা, প্রায় ১৭ কোটি। এই বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা মেটাতে হলে চালের জোগান বাড়াতেই হবে। কিন্তু কৃষিজমি আর বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই, বরং ঘরবাড়ি, কলকারখানা, রাস্তাঘাট ইত্যাদি বানাতে গিয়ে কৃষিজমি প্রতিনিয়ত কমছে।
আশার কথা, কৃষকরাও ক্রমে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন, কৃষকদের সেগুলো গ্রহণ এবং সার ও সেচের সহজলভ্যতা ধান উৎপাদনে এই বিপ্লব ঘটাতে পেরেছে। তাঁদের মতে, ধান উৎপাদনের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
ধান উৎপাদনের এমন সুখবরের মধ্যেও কিছু বাস্তবতা আমাদের মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের কৃষি, বিশেষ করে ধানের উৎপাদন অনেকটাই আবহাওয়া ও পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি বন্যায় যেভাবে সারা দেশে রীতিমতো বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে চলতি মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদন বড়মাপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অথচ গত অর্থবছরের রেকর্ড উৎপাদনে আমন ধানের একটি বড় ভূমিকা ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি অর্থবছরে ধানের মোট উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যেতে পারে। তাঁদের মতে, হিসাব-নিকাশ করে দ্রুত ঘাটতি মোকাবেলায় চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।