English

31.1 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ৬, ২০২৫
- Advertisement -

অভিযান পরিচালনা করুন: বাড়ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার

- Advertisements -

দেশে খুন-সন্ত্রাসের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। অবস্থা এমন হয়েছে, সামান্য কথা-কাটাকাটি থেকেও ঘটছে খুনাখুনির ঘটনা। আর সেসব অপরাধে দ্রুত বাড়ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোর সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তার ওপর সামনে রয়েছে জাতীয় নির্বাচন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ সময় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার অনেক বেড়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পাশাপাশি জঙ্গি সন্ত্রাসের ঘটনাও বেড়ে যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের অভ্যন্তরে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের অনুপ্রবেশ বন্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে।

বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের কয়েক শ বিক্রেতা-সিন্ডিকেট রয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত ঢুকছে আগ্নেয়াস্ত্র।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ, যশোরের বেনাপোল, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, সাতক্ষীরার শাঁকারা, মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুমিল্লা সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি সীমান্ত রুট। সীমান্তের বাইরে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসার পাশাপাশি দেশেও তৈরি হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র।

এরই মধ্যে এ রকম বেশ কিছু কারখানার অস্তিত্ব পেয়েছে বাহিনীগুলো। র‌্যাবের পরিসংখ্যান বলছে, বাহিনীটি ২০২২ সালে সারা দেশে ৬৯২টি অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৩৭১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ৬০২ জনকে। এ সময় ৬৩টি ম্যাগাজিন, পাঁচ হাজার ৮২৪ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ৪১ হাজার ৮৮১টি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য বাহিনীও কমবেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

তার পরও কমছে না অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানি। গত বুধবার সামান্য কথা-কাটাকাটির জের ধরে পাবনার ঈশ্বরদীতে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছে মামুন হোসেন নামের এক রিকশাচালককে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্য আরেকজন। খুনের অভিযোগ উঠেছে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

পুলিশের ভাষ্য, খুনের ঘটনায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির ও আশপাশের এলাকায় প্রায়ই ঘটছে খুনের ঘটনা। গতকালও সেখানে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।

মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান পরস্পর হাত ধরাধরি করে চলে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) তথ্যে দেখা যায়, প্রতিবছরই বাড়ছে জব্দ করা মাদকের পরিমাণ। ২০১৯ সালে গড়ে প্রতিদিন গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল ২.২৮ মণ। ২০২০ সালে তা ছিল ৩.৪৮ মণ, ২০২১ সালে ছয় মণ এবং ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন উদ্ধার হয়েছে ৭.৮৮ মণ।

চোরাচালানকারীরা শুধু যে মাদকদ্রব্য আনে তা নয়, এর সঙ্গে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকও আসে। বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান।

এভাবে চলতে থাকলে শুধু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নয়, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের হুমকির সৃষ্টি হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তাই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/2ss0
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন