বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় ইটভাটাগুলো দেখানোর জন্য কিছু কয়লা সেখানে সাজিয়ে রাখে এবং বেশির ভাগ ইটভাটা কাঠ দিয়ে ইট পোড়ায়। যারা এসব অনিয়ম দেখার কথা তারা দেখেও না দেখার ভান করে।
প্রকাশিত এক খবর বলা হয়েছে, মেহেরপুরে শতাধিক ইটভাটায় নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর এসব কাঠ চেরাই করতে স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ করাতকল। শতাধিক ইটভাটার মধ্যে মাত্র একটির রয়েছে নিবন্ধন। এসব অনিবন্ধিত ইটভাটায় অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ করাতকল।
প্রশাসনের নাকের ডগায় রাত-দিন সমানতালে চলছে কাঠ ফাড়াই। এখানে মোটা মোটা কাঠের গুঁড়ি জড়ো করে চেরাই করা হচ্ছে। এসব ইটভাটা শত শত বিঘা আবাদি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে।
অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আইন ও সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করেই আবাদি জমির পাশে গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়কারী এসব ভাটা ও স মিল। এসব ভাটায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষিজমির উর্বর মাটি।
দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে ও লোকালয় থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে কী দেখা যায়? লোকালয়ের ভেতরে বা বাড়িঘরের পাশেই ইটভাটা।
জেলা প্রশাসন ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স দেয়। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ ছাড়পত্র দেয়। ইটভাটাগুলো দেশের আইন ও পরিবেশসম্মতভাবে পরিচালিত হয় কি না তা দেখার দায়িত্বও তাদের। সারা দেশের মানুষ জানে, ইটভাটায় কোনো আইনই মানা হচ্ছে না, কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তা দেখতে পান না কেন?