English

31 C
Dhaka
রবিবার, মে ২৮, ২০২৩
- Advertisement -

আইন মানতে বাধ্য করুন: ইটভাটায় করাতকল

- Advertisements -
দেশের ইটভাটাগুলো কোনো আইন মেনে চলতে চায় না। কোনো নিয়ম-নীতি মানতে চায় না। আইনে ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাস্তবে প্রায় শতভাগ ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। আইনে আছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা থাকতে পারবে না। বাস্তবে বনাঞ্চলের গা ঘেঁষে, এমনকি বনের জায়গা দখল করে ইটভাটা গড়ে তুলতে দেখা যায়।ড্রাম চিমনির ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও বহু ইটভাটায় ড্রাম চিমনি ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনে পাহাড় কাটাও নিষিদ্ধ। কিন্তু পাহাড় কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি। আর এর আইন মানবে কি, আইনের প্রথম শর্ত অর্থাৎ অনুমোদনই তো নেয় না। বেশির ভাগ ইটভাটা চলে প্রশাসনের অনুমোদন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া।

বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় ইটভাটাগুলো দেখানোর জন্য কিছু কয়লা সেখানে সাজিয়ে রাখে এবং বেশির ভাগ ইটভাটা কাঠ দিয়ে ইট পোড়ায়। যারা এসব অনিয়ম দেখার কথা তারা দেখেও না দেখার ভান করে।

প্রকাশিত এক খবর বলা হয়েছে, মেহেরপুরে শতাধিক ইটভাটায় নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর এসব কাঠ চেরাই করতে স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ করাতকল। শতাধিক ইটভাটার মধ্যে মাত্র একটির রয়েছে নিবন্ধন। এসব অনিবন্ধিত ইটভাটায় অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ করাতকল।

প্রশাসনের নাকের ডগায় রাত-দিন সমানতালে চলছে কাঠ ফাড়াই। এখানে মোটা মোটা কাঠের গুঁড়ি জড়ো করে চেরাই করা হচ্ছে। এসব ইটভাটা শত শত বিঘা আবাদি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে।

অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আইন ও সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করেই আবাদি জমির পাশে গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়কারী এসব ভাটা ও স মিল। এসব ভাটায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষিজমির উর্বর মাটি।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে ও লোকালয় থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে কী দেখা যায়? লোকালয়ের ভেতরে বা বাড়িঘরের পাশেই ইটভাটা।

জেলা প্রশাসন ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স দেয়। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ ছাড়পত্র দেয়। ইটভাটাগুলো দেশের আইন ও পরিবেশসম্মতভাবে পরিচালিত হয় কি না তা দেখার দায়িত্বও তাদের। সারা দেশের মানুষ জানে, ইটভাটায় কোনো আইনই মানা হচ্ছে না, কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তা দেখতে পান না কেন?

নির্মাণসামগ্রী হিসেবে ইটের অনেক বিকল্প রয়েছে। ইট পোড়ানোরও অনেক উন্নত পদ্ধতি এসেছে। বাংলাদেশেও ইট পোড়াতে গ্যাসের ব্যবহার আছে। প্রয়োজনে তা আরো বাড়াতে হবে। কিন্তু কোনোক্রমেই এভাবে বনাঞ্চল বা বৃক্ষসম্পদ ধ্বংস করা যাবে না। সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন