English

32 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুন ৬, ২০২৩
- Advertisement -

আর্থিক খাতে সংস্কার দরকার: বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিবেদন

- Advertisements -
সারা বিশ্বেই আর্থিক খাত বড় ধরনের এক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও এই সংকটকাল পাড়ি দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ‘এক্সপান্ডিং অপরচুনিটিজ : টুওয়ার্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এই অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৬ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক বলছে, সুদের হার বৃদ্ধি এবং অর্থবাজারের অনিশ্চয়তা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে নিম্নমুখী ঝুঁকি তৈরি করছে। যদিও বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমা, সেবা খাতের শক্তিশালী পুনরুদ্ধার এবং সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন কমে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও মূল্যস্ফীতির চাপের বাইরে নেই বাংলাদেশও। প্রতিকূল পরিবেশ গত তিন বছর দক্ষিণ এশিয়ায় যেমন প্রভাব ফেলছে, তেমনি প্রভাবিত হয়েছে বাংলাদেশও। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট ট্রেড রিফর্ম : অ্যান আর্জেন্ট এজেন্ডা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১.৫ শতাংশ কমে ৫.২ শতাংশ হবে। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মধ্য মেয়াদে ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমবে, অভ্যন্তরীণ অবস্থার উন্নতি হবে এবং সংস্কার বাস্তবায়নে গতি আসবে। তার পরও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, কঠোর আর্থিক অবস্থা, আমদানির ওপর বিধি-নিষেধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে।

অন্যদিকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২৩’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে ৫.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিনিয়োগ কম হবে, কারণ জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে নানা কারণে উৎপাদন খরচও বেশি। রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং পাবলিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিও ধীর হবে। তবে এডিবি মনে করছে, সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রতিকূলতার মধ্যেও তুলনামূলকভাবে ভালো করছে।

বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তবে কাজটি যে খুব সহজ হবে, তা নয়। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক চাপ সামলানোর পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া এখন বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যক্রম মূল্যায়নবিষয়ক এক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, অবনতিশীল জলবায়ু সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে সামনে রয়েছে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শক্তিশালী করার চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণসংক্রান্ত সংস্কার কার্যক্রমকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ। এর পাশাপাশি জাতিসংঘ মনে করে বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগ কম হবে। উৎপাদন খরচও বেশি। রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি রয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশকে এখন একটি ভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আমাদের এখন সামাজিক সুরক্ষার বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগও নিতে হবে। জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের বিকল্প নেই। সুপরিকল্পনা, আন্তরিকতা, সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশ আর্থিক খাতের সব চ্যালেঞ্জ সহজেই মোকাবেলা করতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন