English

26.2 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫
- Advertisement -

কাটাগাঙ নাব্য করা হোক: নদী পুনঃখননের দুরবস্থা

- Advertisements -
সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে বহু নদী হারিয়ে গেছে। পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে বহু নদীর তলদেশ। সেই সঙ্গে আছে অব্যাহত দখল ও দূষণ। ফলে সারা দেশে নদীর মৃত্যু ক্রমেই ত্বরান্বিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার বদ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখননের কর্মসূচি হাতে নেয়।অনেক নদী ও খালের খননকাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু খননের সঠিকতা নিয়ে যেমন অভিযোগ আছে, তেমনি আছে খনন-পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। ফলে স্থানীয় জনগণ নদী খনন থেকে খুব একটা উপকৃত হতে পারছে না।
Advertisements

প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই এক দুঃখজনক চিত্র। জানা যায়, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার তিন উপজেলায় চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কাটাগাঙ নদীটি বছর তিনেক আগে পুনঃখনন করা হয়। লক্ষ্য ছিল বোরো জমিতে সেচ সুবিধা বৃদ্ধি করা, নৌপরিবহন সহজ করা এবং দেশি প্রজাতির মিঠা পানির মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা।

অভিযোগ আছে, খননকাজ মানসম্মতভাবে করা হয়নি। ফলে তিন বছর না যেতেই শুষ্ক মৌসুমে নদীর বেশির ভাগ অংশ শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। আর তাই নদী পুনঃখননের কোনো লক্ষ্যই পূরণ হচ্ছে না।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কাটাগাঙ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন করেছে। গাঙের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভেটুয়া  থেকে পাবনার চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা এলাকা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হয়।

Advertisements

প্রতিনিধি তাড়াশ উপজেলা এলাকায় কাটাগাঙ ঘুরে দেখতে পান, তাড়াশ উপজেলায় নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ স্থানেই পানি নেই। নদীর  যে ১৫  থেকে ২০ শতাংশ স্থানে সামান্য পানি রয়েছে, তা  সেচযন্ত্র দিয়ে টেনে  তোলার পর্যায়ে নেই।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে, সঠিক গভীরতায় নদী খনন করা হয়নি। নদীর মাটি দুই পারে কোনো রকমে ফেলে রাখা হয়। সঠিকভাবে পার সংরক্ষণ না করায় সেই মাটি বর্ষায় নদীতে চলে আসে এবং নদী আবার ভরাট হয়ে যায়। নদীর দুই পারে সামান্য কিছু গাছ লাগালেও পরিচর্যার অভাবে সেগুলোও মরে গেছে।

আমরা মনে করি, শুধু পুনঃখনন নয়, পুনঃখননের মান ও পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি। কাটাগাঙের পুনঃখননের এমন দুরবস্থার কারণ খুঁজে বের করা হোক।

এ ক্ষেত্রে কারো অবহেলা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে নদীটি আরো বেশি ভরাট হওয়ার আগে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/xohz
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন