English

26 C
Dhaka
শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৪
- Advertisement -

কৃষক যেন উপকৃত হন: ধান-চাল সংগ্রহ

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

কৃষককে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই প্রতিবছর উৎপদন মৌসুমে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এবারও সেই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ বছর আমন ধান, চাল ও গমের সরকারি সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা, চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং গমের মূল্য প্রতি কেজি ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এই দামে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে।
এ সময়ে তিন লাখ মেট্রিক টন আমন ধান, পাঁচ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কেনা হবে। এ ছাড়া আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১.৫ লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, কৃষকের জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা মজুদও বৃদ্ধি করতে চায়। বোরো ধান সংগ্রহে সরকারের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
প্রতিবছর ধানের মৌসুমে সরকারের পক্ষ থেকে যে ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে সরাসরি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। কৃষক যাতে কোনোভাবেই ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতেই কৃষকের কাছ থেকে কেনা হয় ধান ও চাল। অন্যদিকে দেশের রাইস মিলগুলো থেকেও সরকার চাল কিনে থাকে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে রাইস মিলগুলোর চুক্তি সম্পাদিত হয়। সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে সরকারের খাদ্যগুদামে মিলগুলো চাল সরবরাহ করে থাকে। সরকার প্রয়োজনের সময় এই চাল খোলাবাজারে বিক্রি করে। তাতে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হয়।
প্রতিবছর ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে দুর্নীতি ও অনিয়মের বহু অভিযোগ পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের এখানে যুক্ত করেন এবং কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পান না বলেও অভিযোগ রয়েছে। মাপ ও অর্থ লেনদেনেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি যেন না হয়, সেদিকে কর্তৃপক্ষকে কড়া নজরদারি রাখতে হবে।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষক ধান উৎপদন করেন, কিন্তু ন্যায্য মূল্য পান না, এমন অভিযোগ অনেক দিনের। বাজারে ধানের দাম কমিয়ে রাখার জন্য নানা রকম সিন্ডিকেট কাজ করে বলেও জানা যায়। ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
আমরা আশা করি, ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান সত্যিকার অর্থেই কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় সক্ষম হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন