English

28.2 C
Dhaka
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫
- Advertisement -

ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উদ্যোগ নিন: জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত

- Advertisements -
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে দেশগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। নোনা পানির অনুপ্রবেশ ক্রমেই বাড়ছে এবং বাড়বে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ ও তীব্রতা দুটিই বাড়বে।
বাড়বে তাপপ্রবাহ। উত্তরাঞ্চলে দেখা দিতে পারে তীব্র খরা ও মরুকরণ প্রক্রিয়া। বর্ষায় অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ক্রমে বাড়তেই থাকবে। ফলে খাদ্যঘাটতি ও পুষ্টিহীনতা বাড়বে।
এরই আভাস পাওয়া যায় জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রতিবেদনে।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনায় গত বছর বাংলাদেশে তিন কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘চরম তাপমাত্রা ও অন্যান্য জলবায়ুজনিত সংকট শুধু শিশুদের স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমই ব্যাহত করে না, বরং এর কারণে শিশুদের মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন, মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমেই ঝুঁকিতে পড়ছে।
গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স ২০১০ অনুযায়ী, ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১৮ বছরে বাংলাদেশে কেবল সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা একই সময়ের উন্নয়ন বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বাংলাদেশে ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকার সম্পদের, যা মোট জিডিপির ১.৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আয়োজিত এক কর্মশালায় বলা হয়, উপকূলীয় এলাকার আবাদি জমির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি জমি লবণাক্ততায় আক্রান্ত। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা, শুষ্ক মৌসুমে লবণাক্ততা এবং স্বাদু বা মিঠা পানির অভাবে এসব জমি প্রায়ই পতিত থাকছে। ফলে উপকূলের চার কোটি মানুষের ৬০ শতাংশই এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।
গত বছরের বন্যায় বৃহত্তর সিলেট ও কুমিল্লায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ক্রমেই তীব্র হতে থাকবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলা তলিয়ে যেতে পারে। নোনা পানির অনুপ্রবেশ এরই মধ্যে দেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, যা অঞ্চলের কৃষি ও প্রকৃতিতে ব্যাপক প্রভাব রাখছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এবং ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/2zc1
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন