English

27.7 C
Dhaka
বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫
- Advertisement -

চিকিৎসার সুযোগ বাড়ান: ব্যাপক হারে বাড়ছে ক্যান্সার

- Advertisements -
জীবনযাত্রার পরিবর্তিত ধরন, অতিমাত্রায় পরিবেশদূষণ, ভেজাল বা দূষিত খাবার গ্রহণসহ নানা কারণে সারা বিশ্বেই ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশে তা বাড়ছে অতিদ্রুত এবং উদ্বেগজনক হারে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসাব্যবস্থায়ও ঘাটতি রয়েছে। তা ছাড়া চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় বেশির ভাগ রোগীই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত মোট রোগীর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের মতো গতকাল বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস’।
বাংলাদেশে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব, বিস্তার, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের নানা দিক নিয়ে বিশেষজ্ঞ অভিমতসহ গতকাল কালের কণ্ঠে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) তথ্য মতে, ২০২৪ সালে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ১৩ হাজার ৮৫২ জন।
মৃত্যু হয়েছে ৫৭৪ জনের। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৩৪০ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা নিতে এসেছে ১২ হাজার ৫৩ জন। ক্যান্সারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর এ সংখ্যা সারা দেশে আক্রান্ত মোট রোগীর অর্ধেকেরও কম।
আর এমআইএসের তথ্যে ক্যান্সারে মৃত্যুর যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা তার চেয়ে অন্তত ২০ গুণ বেশি। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্সার চিকিৎসার সুযোগ কম থাকা এবং খরচ অনেক বেশি হওয়ায় দরিদ্র রোগীদের পক্ষে চিকিৎসা নেওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদে তা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এরা তখন কবিরাজিসহ নানা ধরনের দেশজ চিকিৎসার ওপর নির্ভর করে। আবার সচ্ছলদের একটি বড় অংশ চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যায়। অনেকে কোনো ধরনের চিকিৎসা ছাড়াই মারা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ৬৭ হাজার ২৫৬ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং বছরে মারা যাচ্ছে এক লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮ জন। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমাদের যেহেতু ক্যান্সারের স্থায়ী কোনো নিবন্ধনব্যবস্থা নেই, তাই সঠিক পরিসংখ্যানও নেই।

ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব বা প্রকোপ বোঝার জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অব ক্যান্সার (আইএআরসি) প্রকাশিত গ্লোবোক্যানের ওপর। এখনো তৈরি করা যায়নি জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কৌশলপত্র, কর্মপরিকল্পনা, কর্মসূচি ও নিবন্ধন।’

দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার সুযোগ এখনো মূলত ঢাকা মহানগরীতে সীমিত। বিভাগীয় পর্যায়ে আটটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের চলমান প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য দেশব্যাপী স্ক্রিনিং কর্মসূচি চালু করতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/wmk8
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন