ফলে কেবলই বাড়ছে ভোগান্তি।
দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। সাধারণ বাতি-ফ্যান থেকে শুরু করে টিভি, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেনসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অভাব নেই। এসিও এখন নাগরিক জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
একজন গ্রাহক জানান, তিনি বাসার মিটারের জন্য আগের মাসের ৭ তারিখে এক হাজার টাকা রিচার্জ করেছিলেন। আগে এতে মাস চলে যেত। এখন মাস চলে না। আবার রিচার্জ করতে হয়। তিনি জানান, এক হাজার টাকা রিচার্জে কেটে নেওয়া হয় মিটারভাড়া বাবদ ৪০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ৮৪ টাকা, ভ্যাট ৪৭ টাকা ৬২ পয়সা, সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা। অভিযোগ আছে, পোস্ট-পেইড গ্রাহকদেরও।
জানা যায়, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের মোট উৎপাদন সক্ষমতা ৩১ হাজার ৫২০ মেগাওয়াট। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট। বাড়তি সক্ষমতা ব্যবহার না হলেও নিয়মিত ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর তা উৎপাদিত ইউনিটের দামে যুক্ত হয়। আর সেই চাপ গিয়ে পড়ে ভোক্তার ওপর। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ তিন মেয়াদে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৭৩টি আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার) ও ৩০টি রেন্টাল (ভাড়ায় চালিত) বিদ্যুৎকেন্দ্রকে প্রায় এক লাখ ছয় হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে। আর তা পরিশোধ করতে হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের।
আমরা আশা করি, গ্রাহকদের স্বার্থে বিদ্যুৎ খাতের যৌক্তিক সংস্কার করা হবে এবং বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে।