English

25.3 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ৮, ২০২৫
- Advertisement -

দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নিন: কুমিল্লায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষ

- Advertisements -

বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। মুখোমুখি সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত হওয়া, লেভেলক্রসিংয়ে অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষ ইত্যাকার ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী ট্রেনে গিয়ে ধাক্কা খায় বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন।

এতে পণ্যবাহী ট্রেনটির ওপর উঠে যায় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি। এ ঘটনায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি এবং মালবাহী ট্রেনের পেছনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছে। দ্রুতগামী ট্রেন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ভুল সংকেতের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী। আর মালবাহী ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে এসে হাসানপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে।

সেটিও ঢাকাগামী ছিল। ভুল সংকেতের কারণে দ্রুতগতির সোনার বাংলা এক্সপ্রেস মেইন লাইন ছেড়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, রেলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান ট্রাফিক কর্মকর্তাকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করেছে রেলওয়ে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। রেলওয়ে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ঘটনার পর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড, লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও হাসানপুর স্টেশনের সিগন্যাল মেইনটেনারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে।

এমনিতেই দেশের রেলপথের অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। রেলপথের বেশির ভাগ স্থানে প্রয়োজনীয় পাথর নেই। এ ছাড়া স্লিপার ও লাইনগুলো দুর্বল হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে ট্রেন। আবার রেলের অনেক দুর্ঘটনা ঘটে লেভেলক্রসিংয়ে। সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে লেভেলক্রসিং। দেশের দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথে প্রায় দুই হাজার ৫৪১টি লেভেলক্রসিং রয়েছে। এর বেশির ভাগে কোনো গেট নেই। সংকেতবাতি নেই। নেই যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা।

রেললাইনের ওপর দিয়ে মূলত সিটি করপোরেশন, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথের রাস্তা গেছে। এসব সংস্থার সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের সামান্য সমন্বয় করা গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। যেখানে যেখানে লাইন আছে, ব্যয়সাপেক্ষ হলেও সেখানে উড়ালসেতু তৈরি করা যেতে পারে। এতে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রেল কর্তৃপক্ষ আপাতত সেখানে রেলগেট নির্মাণ করে কর্মী নিয়োগ দিতে পারে। এতেও দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।

রেলওয়েতে প্রকল্পের পর প্রকল্প নেওয়া হয়। রেল খাতে প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করা হলেও রেলের সামগ্রিক উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। চাহিদা ও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেলের আধুনিকায়ন করতে হবে। জরাজীর্ণ ও সংস্কারহীন রেলপথ, লেভেলক্রসিংসহ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাবতে হবে। রেলওয়েকে যাত্রীবান্ধব পরিবহন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/zx2o
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন