English

32 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুন ৬, ২০২৩
- Advertisement -

দ্রুত চূড়ান্ত করা হোক: অবৈধ মজুদবিরোধী আইন

- Advertisements -

বাজারে অনেক ধরনের তেলেসমাতি চলে। হঠাৎ করে বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য উধাও হয়ে যায়। বাজারে হাহাকার পড়ে যায়। আবার বাড়তি দাম দিলে সেসব খাদ্যদ্রব্য পাওয়াও যায়। কয়েক বছরে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে এসব খাদ্যপণ্যের অনেক অবৈধ মজুদ খুঁজেও পাওয়া গেছে।

এভাবে হুটহাট দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের ভোগান্তি চরমে ওঠে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে অবৈধ মজুদবিরোধী একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ শীর্ষক আইনটির খসড়া গত সোমবার মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এতে খাদ্যদ্রব্যের অবৈধ মজুদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

Advertisements

শুধু অবৈধ মজুদ নয়, খাদ্যদ্রব্যের গুণমান নিয়েও অনেক অসৎ ও ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড চলে। খাদ্য সংরক্ষণের জন্য এমন সব ক্ষতিকর উপাদান মেশানো হয় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। খাবারে এমন সব রাসায়নিক রং মেশানো হয়, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

এ ছাড়া মুড়িতে ইউরিয়া, দুধে ও মাছে ফরমালিন, ফলে ইথিলিন, কারবাইডসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে এমন সব উপাদান মেশানো হয় যেগুলো মানুষকে অসুস্থ করতে পারে। আবার কোনো খাদ্যপণ্যকে সামান্য পরিবর্তন করে এমন পণ্য হিসেবে বাজারজাত করা হয়, যা এক ধরনের প্রতারণা।

Advertisements

যেমন—মিনিকেট নামে কোনো ধান বা চাল না থাকলেও অন্য কোনো চালকে কেটেছেঁটে ‘মিনিকেট’ বানিয়ে বিক্রি করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অতীতে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তারও করেছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট আইনের অভাবে তাঁদের অনেকেই শাস্তি এড়িয়ে গেছেন। তাই খাদ্যদ্রব্য নিয়ে ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধে একটি আইন প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছিল।

প্রস্তাবিত আইনে মোট ২০টি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অপরাধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। কেউ নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুদ করলে বা মজুদসংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ভোক্তার অধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই মজুদদারি, সিন্ডিকেটবাজি বা অন্যান্য উপায়ে ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্নকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। আমরা আশা করি আইনটি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে এবং আইনের সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন