পারিবারিক সংঘাত দ্বারা সৃষ্ট ঝুঁকির কারণ চিহ্নিত করতে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।আমরা মনে করি, এসব নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী, তাদের অচিরে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একটি সমাজে যখন যেকোনো ধরনের অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা হয়, তখন সমাজে বসবাসকারী অন্যদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা কমে আসে। আর যদি যথাযথ বিচারের সম্মুখীন না করা হয় তথা বিচার না হয়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়তে থাকে।
গত রবিবার সকালে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সদর উপজেলার মনতলায় সুতিয়া নদীর সেতুর নিচে একটি লাগেজে পাওয়া গেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর খণ্ডিত লাশ। লাশের মাথা ও পা দুটি আলাদা ছিল।
পারিবারিক সহিংসতা একটি গুরুতর সমস্যা। গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই পারিবারিক সহিংসতার খবর প্রকাশিত হয়। আমরা দেখছি, পারিবারিক কলহের জেরে সন্তান তার মাকে খুন করছে, বাবাকে হত্যা করছে, এক ভাই আরেক ভাইকে খুন করছে, ভাই তার বোনকে মারছে।
স্বামী হত্যা করছেন স্ত্রীকে। এমনকি শিশুসন্তানকেও হত্যা করা হচ্ছে। এ ধরনের নৃশংস অপরাধের পেছনে মূলত কাজ করে মূল্যবোধের অবক্ষয়। যথাযথ প্রয়োগের অভাবে আইনের প্রতি অবজ্ঞা বাড়ছে। সেই সঙ্গে সামাজিক বন্ধন ক্ষয়িষ্ণু বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
আমাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিবার। সেই পরিবারে যখন সহিংস আচরণ ঘটে, তখন শুধু পরিবারই নয়, সমাজও অস্থির হয়। পারিবারিক সহিংসতা সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে হলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার দিকে অনেক বেশি কাজ করতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/e4ka
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন