এ ছাড়া খালের গতিপথ বন্ধ করে সেতু নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের গাছ পুঁতে রাখায় দুর্ভোগে পড়েছে নৌচলাচলও।
বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ একেবারেই নতুন নয়। আরো অভিযোগ আছে যে পরিকল্পনায় ত্রুটি থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সরকারের অর্থ ব্যয়ও বেড়ে যায়। বিশেষ করে দীর্ঘসূত্রতা ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে জ্ঞাত। কিন্তু তার পরও সেদিকে নজর দেওয়া হয় না।
উদাহরণ কয়েক মাস আগে প্রকাশিত একটি খবর; যেখানে বলা হয়েছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কের খালের ওপর নির্মীয়মাণ সেতুর নকশা পাল্টাতে হবে। মাঝ বরাবর করা হবে ইস্পাতের কাঠামো। এতে খরচও বাড়বে।
আবার সংযোগ সড়ক না থাকায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় চার বছর আগে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না।
দেশের অনেক এলাকায় আধুনিক যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। সেসব এলাকার মানুষ আধুনিক যোগাযোগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বরগুনার আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের আড়পাঙ্গাশিয়া খালের ওপর পৌনে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুটি বোধ হয় তারই উদাহরণ। আমরা চাই, অবিলম্বে সেতুটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করা হোক।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/0apy