English

27.2 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫
- Advertisement -

নৈরাজ্য দূর করুন: কোরবানির চামড়ার দামে ধস

- Advertisements -
আমাদের দেশের ব্যবসায় ক্ষেত্রে সততা ও নৈতিকতার অভাব নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার একটি হচ্ছে সিন্ডিকেট বা জোট গঠনের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঠকিয়ে অতিরিক্ত বা অনৈতিক মুনাফা করা। এর একটি উদাহরণ হতে পারে  দেশের চামড়াশিল্প।  দেশে চামড়ার প্রধান জোগান পাওয়া যায় কোরবানির ঈদের সময়।
সাধারণ মানুষ কিংবা ছোটখাটো ব্যবসায়ীর পক্ষেও এসব পশুর চামড়া ধরে রাখা সম্ভব নয়। যে দাম পাওয়া যায়, তাতেই তাঁরা চামড়া বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। আর সে সুযোগটিই নেন  দেশের বড় চামড়া ব্যবসায়ীরা। তাঁরা কোরবানির ঈদ এলেই নানা ধরনের সুর তোলেন।
গত বছর বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি পিস। এবারে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক কোটি ১০ লাখ পিস। চামড়ার ভালো দাম পেতে নিয়ম মেনে চামড়া সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়। জাতীয় সম্পদ চামড়ার ব্যবস্থাপনা নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়ে দেয়  এবার চামড়া যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।অনেক এতিমখানায় লবণ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে।সরকার কোরবানির মৌসুমে চামড়ার দাম নির্ধারণসহ নানা উদ্যোগ নিলেও এর সুফল ভোগ করতে পারেননি কেউই। গেল কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও চামড়ার বাজারের কেনাবেচায় ধস নেমেছে।  বছর কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে দাম নিয়ে খুশি হতে পারছেন না বিক্রেতারা।

কোরবানির চামড়া নিয়ে প্রতিবছর ঝামেলা হয়।

প্রতিবছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়ার দাম নির্ধারণ করে থাকে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এবার দাম নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সেই ব্যবসায়ীরাই নির্ধারিত মূল্যে চামড়ার দাম দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।  বছর ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সেই হিসাবে ঢাকায় প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম হওয়ার কথা এক হাজার ২০০ টাকা। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। ঢাকার বাইরে প্রতি পিস গরুর চামড়ার সর্বনিম্ন দাম হওয়ার কথা এক হাজার টাকা।

কিন্তু প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বগুড়া জেলাজুড়ে এবার কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। গরুর চামড়া ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছাগল ও ভেড়ার চামড়া কেউ কিনতে আগ্রহী ছিল না। চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে তাঁদের ৩২ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় এবার তাঁরা চামড়া কেনায় বিনিয়োগ করতে পারেননি।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পশুর চামড়া কেনার মতো ক্রেতা মেলেনি। গরুর চামড়া পানির দরে বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা। রাজশাহীর আড়তগুলোতে গরুর চামড়া গড়ে ২০০-৭০০ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ৫-১০ টাকা হারে কিনছেন ব্যবসায়ীরা। অনেক ক্ষেত্রে গরুর চামড়ার সঙ্গে ছাগলের চামড়া ‘ফ্রি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রতিবছর ঈদের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চামড়াশিল্পের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর বৈঠকে দাম নির্ধারিত হয়।  বছরও হয়েছে। তাহলে কেন বাজারের  অবস্থা? আমরা চাই, চামড়া সংগ্রহের বিষয়টি সুষ্ঠু নিয়ম-নীতির আওতায় আনা হোক। চামড়া নিয়ে যেন সিন্ডিকেট বা অন্য কোনো অনিয়ম না চলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/w8o9
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন