কিন্তু আইনে তো ভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাহলে এ ধরনের ভাটা পরিচালনার অনুমতি পায় কিভাবে? সমস্যাটা এখানেই। ইটভাটা নিয়ে বহু রকমের খেলা হয়। আইনে বলা আছে, সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা লোকালয় থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে ইটভাটা করতে হবে। বাস্তবে তা মানা হয় না। কোনো আইনেই অনুমতিহীন বা অবৈধ ইটভাটা চালানো যায় না। বাস্তবে বৈধ ভাটার চেয়ে সাত-আট গুণ বেশি অবৈধ ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোতে যে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করা হয় সেগুলো অনেক বেশি ক্ষতিকর।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেগুলো দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। উচ্চ আদালত একাধিকবার অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সে নির্দেশও যযাযথভাবে মানা হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে লোক-দেখানো অভিযান চালায়। ভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক দিন পর বিশেষ যোগাযোগে সেই ভাটাগুলো আবার চালু হয়ে যায়। রাজবাড়ীর একজন ভাটা মালিক স্বীকারও করেছেন, তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেই ভাটা চালাচ্ছেন কিংবা ভাটায় কাঠ পোড়াচ্ছেন। এই সমন্বয়ের বিষয়টি কারো অবোধগম্য হওয়ার কথা নয়।
আমরা চাই দেশে ইটভাটাসংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হোক। ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হোক।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/d63w