প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নতুন পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্রুততম সময়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করার উদ্যোগ চলছে।
শুধু নেতৃত্ব বিকাশ নয়, সাধারণ ছাত্রদের চাওয়া-পাওয়া, অভাব-অনটন, সুবিধা-অসুবিধার কথা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার জন্যও একটি নির্বাচিত ছাত্রসংসদ অত্যন্ত জরুরি। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচিত ছাত্রসংসদ নেই। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অনেক দাবিদাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ বা জকসুর কোনো নির্বাচনই হয়নি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় এমনটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জানা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও ছাত্রসংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ছাত্রনেতাদের অনেকে আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
আমরা আশা করি, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পরিবর্তনের হাওয়া জোরদার হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসুক এবং ছাত্রসংসদগুলো তাদের পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাক—এমনটাই প্রত্যাশিত।