অন্যদিকে একই সরকারি সংস্থা সম্প্রতি উপজেলার মনাই ও সরমরা নদীর ওপর আড়াআড়িভাবে বাঁধ নির্মাণ করে নদী দুটির পানিপ্রবাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলার অন্তত পাঁচটি নদীতে এমন সাতটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব কটি নদী সীমান্তের ওপারের পাহাড়ি এলাকা থেকে এসেছে। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে অনেক বালু ও পলি এসে নদীগুলো ভরাট করছে। নিয়মিত খননের অভাবে নদীগুলো প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। তাই এসব নদী ঢলের পানি ধারণ করতে পারে না, তখন দুকূল উপচে পানি ফসলের মাঠে ছড়িয়ে পড়ে। তাই নদীগুলোর পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পানিপ্রবাহের পথ সুগম করা অত্যন্ত জরুরি। সেই কাজটি শুরু করেছে পাউবো।
কিন্তু একই সঙ্গে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদী মেরে ফেলার এমন আত্মঘাতী অপচেষ্টা কেন? জানা যায়, সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) নামের একটি বেসরকারি সংস্থাও কালাগাঙ নদীতে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছে। আমরা অবাক হই, নদী হত্যার শামিল এমন উদ্যোগ তারা নিতে পারে কিভাবে? নদী রক্ষায় প্রশাসনের কি কোনো ভূমিকা নেই?
আমরা মনে করি, নদীর ওপর নির্মিত বাঁধগুলো অবিলম্বে অপসারণ করা হবে। খননের মাধ্যমে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে সরকারি অর্থের অপচয় ও নদী হত্যার জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।