সেখানে এই বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার ৪৯.৮৭ শতাংশ। সিলেটে এই হারও সবচেয়ে কম, তা সত্ত্বেও হার ১৪.৮৬ শতাংশ। অর্থাৎ সারা দেশেই বাল্যবিবাহ বাড়ছে।
রাজশাহীতে বাল্যবিবাহের অত্যধিক ঘটনা আগেও অনেক জরিপে উঠে এসেছে। ২০২২ সালে রাজশাহী জেলা শিক্ষা দপ্তর করোনাকালে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া বিষয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে। তাতেও দেখা যায়, মহামারির দুই বছরে মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের অনেক ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। তখন বাল্যবিবাহের শিকার এই মেয়েদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছিল।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে ১৩ শতাংশের মতো। কিন্তু সেসব প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, সম্ভবত সে ক্ষেত্রে বড় রকমের ঘাটতিই থেকে গিয়েছিল। তাই এখনো রাজশাহী বিভাগে বাল্যবিবাহের এত উচ্চহার।
বাল্যবিবাহ কমাতে হলে রাষ্ট্রকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। বাল্যবিবাহের কারণগুলো অনুসন্ধান করে তার প্রতিকার করতে হবে। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/orcn