অন্যদিকে শিল্প খাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ায় পোশাক ও বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা দিশাহারা। সরকার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তি গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৬০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো সরবরাহ বেড়েছে।
সাভার ও আশুলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের ভয়াবহ সংকট উৎপাদনের স্বাভাবিক গতি স্তব্ধ করে দিয়েছে। গ্যাসের চাপ এতই কম যে অনেক কারখানায় উৎপাদন কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেককে ডিজেলনির্ভর হতে হচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় দ্বিগুণ করে লোকসান বাড়াচ্ছে।
এই পরিস্থিতি দেশের কর্মসংস্থানের প্রায় ৯৫ শতাংশ জোগান দেওয়া বেসরকারি খাতের জন্য মারাত্মক হুমকি। বিনিয়োগ তলানিতে নেমে এসেছে, নতুন উদ্যোগ গ্রহণ বা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিতে ব্যবসায়ীরা দ্বিধাগ্রস্ত।
দেশের অর্থনীতিকে এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। জরুরি ভিত্তিতে শিল্প খাতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো দরকার। ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। কেবল তখনই দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।