English

26.7 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ৪, ২০২৫
- Advertisement -

মশা নিধনে তৎপরতা বাড়ান: ডেঙ্গু এখন সারা বছরই

- Advertisements -
ষাটের দশকে দেশে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয়, কিন্তু ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তার ছিল না। বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটে ২০০০ সালে। এর পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই ডেঙ্গুর ব্যাপকতা লক্ষ করা যায়। তখন ডেঙ্গু ছিল মূলত বড় শহরগুলোতে।
২০১৯ সালে বড় শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও কিছু পরিমাণে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এ বছর সারা দেশেই ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রাদুর্ভাব হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত সাত বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। আর চলতি মাসে যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হয়েছে, তার ৭৯ শতাংশই হচ্ছে ঢাকার বাইরের রোগী।
মৃত্যুরও ৫৮ শতাংশ ঢাকার বাইরের। আরো একটি বিষয় লক্ষণীয়। আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হতো মূলত বর্ষা বা বৃষ্টিবাদলের সময়। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছর ধরে সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকছে।
২০২৩ সালেও প্রায় মধ্য নভেম্বরে রোগের যে ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে তাতে বলা যায়, এ বছরও ১২ মাস ধরেই ডেঙ্গু রোগী থাকবে। গত ১০ নভেম্বরেও হাসপাতালগুলোতে এক হাজার ৩৩৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগটির বিস্তার রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে রোগের ব্যাপকতা বাড়তেই থাকবে এবং একসময় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে।
কীটতত্ত্ববিদরা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, এডিস মশার ঘনত্ব, বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে যে পূর্বাভাস মডেল তৈরি করেন, তাতেও বলা হয়েছে যে আগামী বছরগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। দেশের সব জায়গায় ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যাবে।
কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে কীটতত্ত্ববিদদের এমন পূর্বাভাসের বাস্তব ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়। এ বছর রেকর্ডসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৫৭২ জন এবং মারা গেছে এক হাজার ৪৬০ জন।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির এই গতি রোধ করা না গেলে আগামী বছরগুলোতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যাও একইভাবে বাড়তে পারে।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালে কিছু নির্দেশনা ও কর্মকৌশল প্রণয়ন করেছিল। সেসব নির্দেশনা যথাযথভাবে মানা হয়নি।
চলতি বছরের শুরুতে কীটতত্ত্ববিদরা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তার পরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা মনে করি, মশা নিধনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সারা বছর ধরেই ক্রাশ প্রগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/r3v0
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন